, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’

  • আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৩ ০২:৪২:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৩ ০২:৪২:০৪ অপরাহ্ন
উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’
এবার ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিবড়টির অগ্রভাগ শুক্রবার দুপুরে উপকূল স্পর্শ করেছে। আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসতে পারে এ ঝড়।

এদিকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে আগের মতই ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় সংকেত ব্যবস্থায় ৫, ৬ ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত সতর্কতার সমান মাত্রা বোঝায়। ঘূর্ণিঝড় বন্দরের কোন দিক দিয়ে যাবে, তা বোঝাতে সংখ্যায় পার্থক্য করা হয়। 

এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের ওপর দিয়ে দমকা বা বাড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চলছে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ।
 
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা বড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিবড় কোন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে৷ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নালাঞ্চ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।